শিরোনাম

মুস্তাফিজবিহীন দিল্লির বড় পরাজয়ে আইপিএল শুরু

ত্বক ফর্সা করার ১০ টি উপায়

আপডেট: ১৩ অগাস্ট ২০২১, ১৬:০২

মানুষ সৌন্দর্য পিপাসু। সৌন্দর্য আছে বলেই প্রথিবী এত সুন্দর। আর মানুষের সৌন্দর্য তার মুখে। তাই সবাই চায় নিজেকে একটু সুন্দর করে তুলতে। তাই তো ত্বক ফর্সা করার ঔষধ হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেকেই নানা রকম ক্রিম বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করে থাকেন। নিজেকে সবার চোখে যেন একটু সুন্দর লাগে তাই এত কিছুর প্রয়োজন অনুভব করে। তার জন্য প্রত্যাশা আর প্রটেষ্টার শেষ নেই। কিন্তু বাজারের বেশিরভাগ ক্রিমেই চড়া রাসায়নিক পদার্থ থাকায় ত্বক ফর্সা হওয়া দুরের কথা বরং বেশিরভাগ ফলাফলই হয় তার উল্টো।

ভাল ফল পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক উজ্জ্বল আর ফর্সা করার প্রচেষ্টা অনেক বেশি কার্যকর। তাই আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক উজ্জ্বল আর ফর্সা করার উপায় নিয়ে জেনে নিব।

দুধ ও লেবুর রসের ফেস প্যাক

২ চা চামচ লেবুর রস আর ১/২ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ গুঁড়া দুধ এক সাথে মেশাতে হবে। এবার ১০ মিনিট মুখে  রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার হয়ার সাথে সাথে আগের তুলনায় অনেকটা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সব ধরনের ত্বকেই এই প্যাক ব্যবহার করা যাবে। লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান মধু আর দুধের সাথে মিশে ত্বক ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে।

দই আর ওট মিলের স্কিন মাস্ক

৮-১০ ঘন্টা ১ টেবিল চামচ ওট মিল ভিজিয়ে রেখে সকালে এটি পেস্ট করে এর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি নিশ্চিতভাবে ত্বক ফর্সা করে। ড্রাই টু নরমাল ত্বকের জন্য এই প্যাক বেশ উপকারি।

আলুর খোসার ফেস প্যাক

আলুর খোসায় ব্লিচিং উপাদান আছে । আলু খোসার পেস্ট নিয়মিত ত্বকে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফর্সা আর ফ্রেশ হবে।

টমেটোর সাথে হলুদের ফেস প্যাক

ফর্সা ত্বকের জন্য এক চিমটি হলুদ, ১ চা চামচ টমেটো বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান। এতে ত্বক ফর্সা হবে। টমেটো ত্বকের কাল দাগ দূর করতে কার্যকরী আমরা জানি। টমেটোর ব্লিচিং উপাদান আর হলুদের ভেষজ উপাদান ত্বক ফর্সা করতে একসাথে কাজ করে।

আমন্ড অয়েলের ফেস প্যাক

আমন্ড সারারাত ভিজিয়ে রেখে এটি গুঁড়া করে পেস্ট তৈরি করে এর সাথে বাটার মিল্ক বা মালাই মিশিয়ে এই প্যাক ত্বকে লাগান। ১০ -১৫ মিনিট এই প্যাক ত্বকে রাখুব এরপর কিছুক্ষণ স্ক্রাব করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন প্যাকটি ত্বকে উজ্জ্বলতা এনে দিতে দারুণভাবে কাজ করেছে।

বেসনের ফেস প্যাক

বেসনের সাথে বাটার মিল্ক মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান আর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেসন সব সময় আমাদের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেশ প্যাক ব্যবহার করা যাবে না।

পুদিনা পাতার ফেস প্যাক

১৫ থেকে ২০ টি পুদিনা পাতা পেস্ট করে এটি মুখে লাগান এবং পুরো মুখে পেস্টটি লাগিয়ে ১০-১২ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতায় বিদ্যমান অ্যাসট্রিজেন্ট ত্বকে পুস্টি যোগানোর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বল করে তুলে। এটি ত্বককে টান টান করবে আর ত্বকের ছোট ছোট পোর ঢেকে দেবে।

কলার ব্যবহার

এই প্যাকটি সান টান দূর করে ত্বক ফর্সা করে তুলবে। কলা, ১ চা চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। সব ধরনের ত্বকের সাথে মানানসই এই ফেস প্যাক।

চন্দন ফেস প্যাক

আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা হবে এতে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে চন্দনের গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। এই প্যাক আপনার ত্বক শুধু উজ্জ্বলই করবে না আপনাকে দেখতেও অনেক ফ্রেশ লাগবে।

দুধের সাথে কাঁচা হলুদ:

প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।

হলুদের ব্যবহার :

বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ ফর্সা করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। ব্যবহার করুন দেখবেন ত্বক ফর্সা হয়ে গেছে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

প্রথমে পেস্ট তৈরি করে সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের রং হয়ে উঠবে ফর্সা ও সুন্দর।