শিরোনাম

মুস্তাফিজবিহীন দিল্লির বড় পরাজয়ে আইপিএল শুরু

গ্রামের হাটেও হাত বদলেই বাড়ে দাম, অতিষ্ট মানুষ

আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৭:৫৩

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়ার কৃষক শাহিদ শেখ। রোজার প্রথম হাটে বেগুন বিক্রি করতে যান একই উপজেলার মাশালিয়া হাটে। কৃষক শাহিদ শেখ প্রতি কেজি বেগুন পাইকারি বিক্রি করেন ২০টাকা দরে। শাহিদের কাছ থেকে ১৭ কেজি বেগুন ক্রয় করেন আব্দুল মুন্নাফ শেখ। মুনাফের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ বেগুন ক্রয় করছেন। এক হাত বদলেই প্রতি কেজিতে দাম বৃদ্ধি ১০ টাকা। আব্দুল মুন্নাফ প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়।

শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার মাশালিয়া হাটে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার হাটবাজারগুলোতে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষকরা তেমন লাভবান হচ্ছে না। হাত ঘুরলেই বাড়ছে সবজির দাম। এতে ঠকছেন সাধারণ ক্রেতা ও কৃষকেরা। এ নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ মানুষের।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ মাশালিয়া হাট থেকে প্রতি হালি কলা (৪টি) ২০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৭০ টাকায় কিনছেন।

 

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহিদ শেখ বলেন,‘আমাগো খালি খাটাখাটি সার। লাভ যা পাইকারের আর দোকানির। গ্রামের বাজারে পাইকাররা সিন্ডিকেটে দাম নির্ধারণ করেন।’

হাত বদলেই দাম কেজিতে ১০ টাকা বেশি প্রসঙ্গে আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ‘প্রথমে বেগুন ৩০ টাকা করে বিক্রি করছি। পরে আর এই দামে বিক্রি করতে পারবো না। আমাদের গড়ে প্রতি কেজিতে ৫ টাকার মতো লাভ হয়।’

বাজারে আসা ক্রেতা ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘সব বাজারে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। দাম তো কৃষকরা পায় না। ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এক কথায় বলা যায়, সাধারণ মানুষ অতিষ্ট।’

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, আপনি ভালো তথ্য দিয়েছেন। হাত বদলেই দাম বৃদ্ধিতে আমরা আরও তৎপর হবো।

 

বিডি প্রতিদিন