শিরোনাম

মুস্তাফিজবিহীন দিল্লির বড় পরাজয়ে আইপিএল শুরু

মুসা বিন শসসের জীবনী

আপডেট: ৩০ অগাস্ট ২০২১, ০৮:২৮

পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসী এবং ধনী ব্যক্তি বাংলাদেশের মুসা বিন শমসের। মুসা বিন শমসের 945 সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা সবার শীর্ষে রয়েছে মুসা বিন শমসের। তোর বিলাসী জীবন বৃত্তান্ত ছড়িয়ে গেছে যে কাউকে। দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি রাশিয়ার অনেক জায়গায় মুসা বিন শমসেরের সর্ব উপস্থিতি থাকে। মুসা বিন শমসের হাজার 1945 সালের 15 ই অক্টোবর ফরিদপুর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শমসের আলী মোল্লা।
 


 তিনি ব্রিটিশ শাসনকালে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ছিলেন। মুসার সুইস ব্যাংকে রয়েছে বাংলা টাকায় 93 60000 কোটি টাকা। আরো রয়েছে 700 কোটি টাকার অলংকার গুলশানে আছে দ্যা প্যালেস নামের চকচকে রাজকীয় বাড়ি। আরো আছে রাজধানীর বনানীতে এমনকি নিজের গ্রাম ফরিদপুরে ও আছে আলিশান রাজকীয় বাড়ি। গাজীপুরে রয়েছে বারোশো বিঘা জমি।

 মুসা বিন শমসের তার সম্পদের ব্যাপারে বলেন তার চল্লিশটি দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রের ব্যবসা রয়েছে।  যে দেশের কাছে অস্ত্রের বিক্রি করেছেন সেসব টাকা সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন। বর্তমানে তা সুইস ব্যাংকে জমা আছে। তার রয়েছে জেটকো নামের একটি রপ্তানি জনশক্তির প্রতিষ্ঠান। যে কোম্পানির মাধ্যমে তিনি আয় করেছেন শত শত কোটি টাকা। মুসা বিন শমসের যুবক বয়সে ব্যবসা শুরু করেন এবং ঘাট কোম্পানির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির শুরু হয়েছিল ইউরোপে। তিনি না থাকলে হয়তো আমরা ইউরোপে কোন কাজের জন্য অথবা লেখাপড়ার জন্য যেতে পারতাম না।

 


বাংলাদেশের জনশক্তির জনক বলা হয় মুসা বিন শমসের কে। গত কয়েক দশক আমেরিকা এবং কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সম্পর্ক বিরাজ করেছিল। পুরো পৃথিবীর মানুষ আশঙ্কায় ছিল কখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে একজন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই যুদ্ধ ঠেকাতে তিনি আর কেউ নয় তিনি হলেন এই ফরিদপুরের মুসা বিন শমসের। তিনি যেহেতু অস্ত্রের ব্যবসা করেছেন আমেরিকা এবং কোরিয়ার এই দুই দেশের সাথে সে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উন এর সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে। মুসা বিন শমসের বিলাসী জীবন যাপন সে কারণে তাকে দুবাই থেকে প্রিন্স উপাধি দেওয়া হয়েছে। মুসা ব্যবহার করেন এমন একটি কলম যা কিনা ফ্রান্সের নির্মাতা কোম্পানি মাত্র একটি তৈরি করেছিলেন। 24 ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এই কলমের রয়েছে 7500 হীরার খণ্ড। এই কলমটি রাখা হয় সুইস ব্যাংকে এবং যখন কলমটির দরকার হয় তখন কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে কলমটির নিয়ে যাওয়া হয়। আবার কাজ শেষে নিরাপত্তায় সুইস ব্যাংকে রেখে আসা হয়।

 তিনি যে ঘড়ি টি ব্যবহার করেন সেটি রোলেক্স কোম্পানির তৈরি এবং ঘড়িটির মূল্য 50 লাখ ডলার। তিনি যে আংটি ব্যবহার করেন তার মূল্য  কয়েক লক্ষ ডলার। তার ব্যবহারের সুইট গুলো স্বর্ণের সুতোয় খচিত। আবার অনেকগুলো তো রয়েছে হীরার খণ্ড দিয়ে ডিজাইন করা। তার প্রত্যেকটি স্যুটের মূল্য 10 হাজার পাউন্ডের বেশি। তিনি হীরক খচিত জুতা ব্যবহার করেন যার মূল্য কয়েক লক্ষ ডলার। এমন হীরা খচিত হাজারো জুতা রয়েছে তার সংরক্ষিত শলায়। গুলশানে তার যে বাড়ি রয়েছে 100 পার্সেন্ট ফাইভস্টার। কয়েকজন সেভ রয়েছে তার বাড়িতে শুধু খাবার  পরিবেশন করার জন্য। মুসা বিন শমসের তার বউয়ের হাতের মাখানো ভাত খেতে বেশি পছন্দ করেন। দেশের বাইরে গেলেও তিনি তার স্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে যান শুধুমাত্র একটি কারণেই।

 

 

তার জন্মদিনে এটিএন বাংলা চ্যানেলকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেছিলেন শুধুমাত্র তার জন্মদিনের রাজকীয় অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচার করার জন্য। সেই লাইভ টেলিকাস্ট তিনি বলেন- আমি যেমন বিলাসী জীবন যাপন করি তা বলিউড কিংবা হলিউড মুভিতে দেখানো জীবনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তবে বর্তমানে তার সম্পদ নিয়ে সন্দেহ জেগেছে বাংলাদেশ দমন দুর্নীতি কমিশন দুদকের। দুদক যখন মুসা বিন শমসের এর কাছে টেক্স চেয়েছে তখন মুসা বিন শমসের হঠাৎ করে বলে তার 10 বিলিয়ন ডলার সুইচ ব্যাংক জব্দ করেছে।

তার জীবনের সব সম্পদ আটক করেছে সুইস ব্যাংক। বর্তমানে সেটি সন্দেহ রয়েছে যে সত্যিই কি মুসা বিন শমসের এর টাকা সুইস ব্যাংকে বাজেয়াপ্ত করেছে নাকি বাজেয়াপ্ত করবে। তিনি হয়তো ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলতে পারেন বা তিনি এ পর্যন্ত যে সম্পদের কথা বলেছেন তাও মিথ্যা হতে পারে। তিনি তার লাইফ স্টাইলে এমনকি রাজকীয় জীবন মানুষকে দেখানোর জন্য বলে থাকতে পারেন এমনটাও হতে পারে।

সত্যিই কি মুসা বিন শমসেরের 93 হাজার কোটি টাকা রয়েছে? যা তিনি দাবি করেছেন সুইস ব্যাংক তা জব্দ করেছে নাকি তিনি তার বিলাসী জীবন এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি প্রমাণ করতে এই টাকার কথাগুলো কৌশলে বলেছেন। তার বিলাসিতা জীবন যাপন এবং ক্ষমতা বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে এক বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আমরা চাই সুইস ব্যাংক যদি সত্যিই মুসার টাকা জব্দ করে থাকে মুসা বিন শমসের আবার যেন ফিরে পায়। বাংলাদেশে এরকম আরো মুসা বিন শমসেরের জন্ম হোক এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাক বহুদূর।