শিরোনাম

মুস্তাফিজবিহীন দিল্লির বড় পরাজয়ে আইপিএল শুরু

রক্ত সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪৪

রক্ত কি?
রক্ত হলো এক প্রকার তরল যোগকলা।
রক্তের বর্ণ লাল হওয়ার কারণ কি ?
জন্য।রক্তের বর্ণ লাল হওয়ার প্রধান কারণ হলো রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় লাল রঞ্জক হিমোগ্লোবিন থাকার

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে কি পরিমান রক্ত থাকে ?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দেহে 5 লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীলোকের দেহে 4.5 লিটার রক্ত থাকে।

রক্ত কোথায় থাকে ?
রক্ত থাকে শিরা, ধমনী, রক্তজালক, হৃদ প্রকোষ্ঠ ।

রক্তের প্রধান উপাদান গুলি কি কি ?
রক্তে বেশির ভাগ জল থাকে, এই জলিয় অংশকে প্লাজমা বলে । এছাড়াও রক্তের কোষীয় অংশকে রক্তকোষ বা করপাসলস বা রক্ত কণিকা বলে। এই রক্ত কণিকা গুলি হল তিন প্রকার, যথা - লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা।

রক্তরস বা প্লাজমা কি?
রক্তের 55% হল প্লাজমা। রক্তরসে 91- 92% জল এবং 8-9% কঠিন পদার্থ থাকে। এই কঠিন পদার্থ গুলিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

রক্তের জৈব পদার্থগ্লুকোজ,অ্যলবুমিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, কোলেস্টেরলের, গ্লোবিউলিন ইত্যাদি হল রক্তের জৈব পদার্থ।

রক্তের অজৈব পদার্থ : রক্তের অজৈব পদার্থ গুলি হল - সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, তামা, লোহা, আয়োডিন ইত্যাদি।

রক্তরসের বা প্লাজমার কাজ কি কি ?
রক্তরসের বা প্লাজমার কাজ হল হরমোন, উৎসেচক, পুষ্টি দ্রব্য ইত্যাদি পরিবহন করা।

রক্ত কণিকার শ্রেণীবিভাগ
রক্তে তিন প্রকার রক্ত কণিকা থাকে। এই তিন প্রকার রক্ত কণিকা গুলি হল, যথাক্রমে - লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা।
ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য গিরিপথ সমূহের তালিকাটির PDF gk in Bengali 

লোহিত রক্তকণিকা কি ? এর প্রধান কাজ গুলি লেখ।
লোহিত রক্তকণিকা গুলি অপেক্ষাকৃত ছোট, হিমোগ্লোবিন যুক্ত, গোলাকার কিংবা দ্বি-অবতল এবং পরিণত অবস্থায় নিউক্লিয়াসবিহীন হয়ে থাকে। এদের সংখ্যা হল প্রতি ঘন মিলিলিটারে 45 থেকে 50 লক্ষ।
লোহিত রক্তকণিকার প্রধান কাজ হলঅক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা পালন করা এবং অম্ল ও ক্ষারের সাম্যবস্থা বজায় রাখা।

শ্বেত রক্তকণিকা কি ? শ্বেত রক্তকণিকার প্রধান কাজ গুলো কি কি ?
এরা অনিয়তাকার নিউক্লিয়াসযক্ত। এরা সংখ্যায় প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে 6000 থেকে 8000 থাকে।
শ্বেত রক্ত কণিকার কাজ গুলি হল - এরা রোগজীবাণু ধ্বংস করে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

শ্বেত কণিকা গুলির নাম এবং তাদের কাজের বর্ণনা নিচে দেওয়া হল।
1. নিউট্রোফিল - রোগজীবাণু ধ্বংস করা।
2. ইওসিনোফিল - অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
3. মেসোফিল - হেপারিন নিঃসরণ করে।
4. মনোসাইট - রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
5. লিম্ফোসাইট - অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগাক্রমণ প্রতিরোধ করে।

অনুচক্রিকা কি ? অনুচক্রিকার প্রধান কাজ গুলি উল্লেখ করো।
অনুচক্রিকা হল অতিক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস বিহীন কনিকা। এদের সংখ্যা হল প্রতি মাইক্রোলিটারে 2 লক্ষ 50 হাজার থেকে 5 লক্ষ ।
অনুচক্রিকার প্রধান কাজ হল রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করা।

রক্তের কাজ কি
1. অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করে।
2. রক্ত দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
3. রক্ত অন্ত্র থেকে শোষিত সরল খাদ্যবস্তু কোষে কোষে পৌঁছে দেয়।
4. রক্ত করছে এবং বিভিন্ন তরলে জলের সমতা বজায় রাখে।
5. রক্ত অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহে রোগ জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়।

সিন্ধু সভ্যতার কয়েকটি প্রত্নক্ষেত্র, শহর ও বন্দর সমুহ ।

শ্বেত রক্ত কণিকা লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
1. শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস পরিণত অবস্থায় থাকে এবং লোহিত রক্ত কণিকায় নিউক্লিয়াস পরিণত অবস্থায় থাকে না।
2.শ্বেত রক্তকণিকা রঞ্জক বিহীন থাকে এবং লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক থাকে।
3. শ্বেত রক্তকণিকার গড় আয়ু 1 থেকে 15 দিন এবং লোহিত রক্ত কণিকার গড় আয়ু 120 দিন।
4. শ্বেত রক্ত কণিকা জীবাণু ধ্বংস করে এবং লোহিত রক্তকণিকা অক্সিজেন পরিবহন করে।

 

Bengali GK Science Questions and Answers on Human Blood.(বিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর):

1. লোহিত রক্ত কণিকা কোথায় তৈরি হয় ?
উত্তর: শিশুদের ক্ষেত্রে যকৃতে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্থিমজ্জায়।
2. রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে কি রোগ হয় ?
উত্তর: পলিসাইথিমিয়া। লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ প্রতি ঘন মিলিলিটারে 65 লাখের বেশি হয়ে যায়।
3. লোহিত রক্তকণিকা সাধারণের তুলনায় কমে গেলে কি রোগ হয়?
উত্তর: অ্যানিমিয়া। স্বাভাবিকের তুলনায় 25 শতাংশ  লোহিত রক্তকণিকা কম হলে এই রোগের শিকার হয়।
4. শ্বেত রক্তকণিকা স্বাভাবিকের তুলনায় ( 50000-1000000) বেশি থাকলে কি রোগ হয়?
উত্তর: লিউকোমিয়া।
5. শ্বেত রক্তকণিকা স্বাভাবিকের তুলনায় (20000-30000) হলে কোন রোগের সৃষ্টি হয় ?
উত্তর: লিউকোসাইটোসিস।
6. অনুচক্রিকার পরিমাণ বেড়ে গেলে কোন রোগের সৃষ্টি হয় ?
উত্তর: থ্রম্বোসাইটোসিস।
7. হৃৎপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধায় কোন রোগের সৃষ্টি হয় ?
উত্তর: করোনারি থ্রম্বোসিস।
8. মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় কোন রোগ হয় ?
উত্তর: সেরিব্রাল থ্রম্বোসিস।
9. অনুচক্রিকার পরিমাণ কমে গেলে তাকে কি রোগ বলে ?
উত্তর: থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া।
10. হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে কি রোগ বলা হয় ?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া। এটি একটি বংশগত রোগ।